আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশের জয়

পাঁচ বছরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছয়টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম দেখায় ফেবারিটের মতো জয় পায় বাংলাদেশ। কিন্তু দেরাদুনে গত বছরের জুনে বাংলাদেশকে পাত্তাই দেয়নি আফগানরা। তিন ম্যাচেই হারিয়ে দেয়। টি-২০ ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে টাইগারদের বিপক্ষে টানা চার জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। সাকিবদের আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা লাগে। সেই ধাক্কা সামলে সাকিবের ব্যাটে ৪ উইকেটের জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। জয় করল আফগান জুজু। এখন সাকিবদের সামনে ফাইনাল জয়ের চ্যালেঞ্জ।

শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে উইকেটের সুবিধা নিতে বাংলাদেশ শুরুতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। বোলাররা সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগান। আফগানিস্তান ওপেনিং জুটিতে ৭৫ রান যোগ করে ফেলে। এরপর আফিফ হোসেন বল করতে এসে দুই উইকেট তুলে নেন। পরে মুস্তাফিজ-সাকিবরা উইকেট তুলে নিয়ে চাপে ফেলে দেয় আফগানদের। একশ’ রান পেরেতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। সেখান থেকে ১৩৮ রানের বেশি স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেনি রশিদ খানের দল।

আফগানিস্তানের হয়ে হযতরউল্লাহ জাজাই খেলেন সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস। এছাড়া রহমানুল্লাহ গুরবাজ ২৯ এবং শফিকুল্লাহ ২৩ রান করেন। জবাব দিতে নামা বাংলাদেশ ভালো শুরু করতে পারেনি। দুই ওপেনার লিটন দাস এবং নাজমুল হোসাইন শান্ত দলকে ভরসা দেওয়ার আগেই ফিরে যান। পরে মুশফিককে নিয়ে সাকিব গড়েন ৫৮ রানের জুটি। মুশফিক ফিরে যান ২৬ রান করে। দলের রান তখন ৭০। তিনি ফিরতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল।

একে একে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ, সাব্বির রহমান এবং আফিফ হোসেন। শুরুতে দলকে জেতানোর দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া সাকিব তাই ম্যাচ শেষ করার দায়িত্বও বুঝে নেন। এক প্রান্ত আগলে রেখে তিনি খেলেন ৪৫ বলে ৭০ রানের হার না মানা দারুণ এক ইনিংস। ওই রান করার পথে আটটি চার এবং একটি ছক্কা মারেন তিনি। বিশ্বকাপের পরে টেস্ট, টি-২০ মিলিয়ে আগের পাঁচ ইনিংসে রান পাননি সাকিব। সেটা এক হাতে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলে পুষিয়ে দিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। শেষ দিকে মোসাদ্দেক অবশ্য ১২ বলে ১৯ রান করে সাকিবকে ভালো সঙ্গ দেন।

বাংলাদেশের হয়ে আফিফ হোসেন ৩ ওভারে ৯ রান নিয়ে নেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তার ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। সাকিব আল হাসান ও শফিউল ইসলাম ৪ ওভারে সমান ২৪ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন। আফগানিস্তানের হয়ে নবীন উল হক এবং রশিদ খান নেন দুটি করে উইকেট। মুজিব উর এবং করিম জানাত নেন একটি করে উইকেট। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মুখোমুখি হবে।